জালেম শাসকের সামনে সত্য উচ্চারণ করা প্রতিটি মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সত্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যার মোকাবেলায় দৃপ্ত হতে বলা হয়েছে কুরআন ও হাদীসে। ইতিহাসের মহৎ ব্যক্তিরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, এমনকি জীবন উৎসর্গ করেছেন, তবুও অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি। আল্লাহ আমাদের এই সাহস এবং সঠিক পথের নির্দেশ দিন, আমীন।
সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার গুরুত্ব
সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার দায়িত্ব একজন মুমিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঈমানী কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বারবার এ দায়িত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন, কারণ এটি সমাজের সঠিক পরিচালনা এবং মানবতার উন্নতির জন্য অপরিহার্য। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে:
﴿ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَيُطِيعُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ سَيَرۡحَمُهُمُ ٱللَّهُۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٞ ٧١ ﴾ [التوبة: ٧١]
‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপড়ের বন্ধু, “তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, আর তারা সালাত কায়িম করে, “যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই দয়া করবেন, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (“সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৭১)
এই আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, মুমিনদের একে অপরের জন্য উপদেশক হওয়া উচিত এবং তারা ভালো কাজের আদেশ দিয়ে অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবে। এর মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ঈমানী দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা শৈথিল্য প্রদর্শন করলে আল্লাহর গজব আনয়ন হতে পারে, যা বিপদ ও সমস্যার সৃষ্টি করে।
অন্যায়ের প্রতিবাদে অবহেলা জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনে
কোনো জাতি যখন সম্মিলিতভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ ছেড়ে দেয় এবং নিজস্ব সীমিত স্বার্থে আবদ্ধ থাকে, তখন সে জাতির ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসতে পারে। ইতিহাসে এমন বহু জাতি রয়েছে যারা নিজেদের ঈমানী দায়িত্ব পালন না করায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে। আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাইল সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেছেন:
﴿ كَانُواْ لَا يَتَنَاهَوۡنَ عَن مُّنكَرٖ فَعَلُوهُۚ لَبِئۡسَ. مَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ ٧٩ ﴾ [المائدة: ٧٩]
‘তারা যেসব গর্হিত কাজ করত তা হতে তারা একে অন্যকে বারণ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৭৯)
ন্যায়ের পথে ডাকা আর অন্যায়ে বাধা দেবার এই কাজটি চালিয়ে যেতে হয় ব্যক্তি থেকে সমাজ এবং সমাজ থেকে রাষ্ট্র ও বিশ্বপর্যায়ে। যারা সুশাসক, ন্যায়পরায়ন রাষ্ট্রপরিচালক তারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অন্যের মতকে অবদমিত করেন না। তারা অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। অন্যের সদুপোদেশকে অর্ঘ ভেবে বুকে তুলে নেন। এতে করে তারা যেমন আল্লাহর প্রিয় হন, রাষ্ট্রও তেমন উপকৃত হয়। জনগণ থাকেন শান্তিতে।
পৃথিবীর সর্বপ্রথম আধুনিক কল্যাণরাষ্ট্র মদীনা নগরীর জনগণ নির্বিঘ্ন ও নির্ভয়ে তার শাসক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরে চার পুণ্যবান খলিফার সামনে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ অংশ হিসেবে তাদের মত তুলে ধরতে পারতেন। মহানবীর অভ্যাস ছিল তিনি নানা বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের মত নিতেন। শাসকের সামনে মত প্রকাশে উৎসাহিত করতেন। উহুদ যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও বিশিষ্ট সাহাবা রাদিয়াআল্লাহু ‘আনহুমের মত ছিল মদীনা শহরের অভ্যন্তরে অবস্থান করে শত্রুর মোকাবেলা করা। পক্ষান্তরে হামযা রাদিয়াআল্লাহু ‘আনহু এবং অপেক্ষাকৃত যুবক সাহাবীরা চাইছিলেন শহরের বাইরে কোনো উন্মুক্ত প্রান্তরে গিয়ে যুদ্ধ করতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের এই মত গ্রহণ করে উহুদ প্রান্তরে কুরাইশদের বিপক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলের প্রথম খলীফা মনোনীত হবার পর জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে অনুসরণ করো যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ করব। যদি আমি গোমরাহীর পথে পরিচালিত হই তবে তোমরা আমাকে সঠিক পথের দিশা দেবে।’ তৎপরবর্তী খলীফা উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুও ক্ষমতায় থাকতে বক্তৃতায় জনগণকে বলেন, ‘আমি যদি ভুল পথে পরিচালিত হই তখন তোমরা কী করবে?’ তাৎক্ষণিকভাবে একজন উত্তর দিলেন, ‘এই তরবারি দিয়ে সোজা পথে নিয়ে আসবো’।
পক্ষান্তরে ক্ষমতা যাদের অন্ধ, বধির ও বিবেকপ্রতিবন্ধি বানিয়ে দেয়, তারা অন্যের মতের তোয়াক্কা করেন না। তারা রাষ্ট্রীয় পীড়ন ও জুলুমের বিরুদ্ধে সত্যোচ্চারণকারীর টুঁটি চেপে ধরতে চান। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সরকারি বাহিনীর জোরে তারা সত্যকে মাটির নিচে দাফন করতে চান। চান নিজের তল্পিবাহক ও স্তাবকদের সামনে রেখে মিথ্যা ও অন্যায়ের রাজ কায়েম করতে।, তথাপি ইতিহাসের নানা বাঁকে কিছু অকুতোভয় সত্যনিষ্ঠ মানুষকে দেখা যায় জালেমের ভ্রূকুটি উপেক্ষা করতে। তারা নিজের জীবন বিপন্ন আবার কখনো উৎসর্গ করে সবার সামনে সত্য তুলে ধরেন”। লাখো-কোটি মিথ্যাপূজারীর সামনে বুক চিতিয়ে সত্যোচারন করে স্থায়ী জায়গা করে নেন মানুষের মনের মুকুরে এবং ইতিহাসের সোনালী পাতায়”।
ক্ষমতাবান শাসকের সামনে সত্য বলা অনেক বরো কঠিন বিষয়”। দোর্দণ্ড প্রতাপ ও প্রভাবশালির সম্মুখে সাহস প্রদর্শন এবং সত্য উচ্চারণের সাহস সবার থাকে না”। যাদেড় থাকে, তারা সময়কে জয় করতে পারেন”। কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন”। এমন সাহসী ও সৎ মানুষের উপমা বিরল, দুর্লভ এবং হাতেগোনা। সংখ্যায় কম হলেও ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে সত্যনিষ্ঠ মানুষের সাহসী উচ্চারণের নজির রয়েছে। এ ধরনের মানুষ থাকে বলেই সমাজে-রাষ্ট্রে কিছুটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। সত্যের আলো বিচ্ছুরিত হয়। সত্য-মিথ্যার চিরায়ত দ্বন্দ্বে সত্যের মহিমা প্রকাশ পায়। অসত্যের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়।
সত্য কথা বলা: সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ
“এ দুরূহ কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না।” সত্যের পথে এগিয়ে চলা, সমাজের ন্যায় ও শান্তির জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া—এ সবই কেবল সেই ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব, যাদের বক্ষ ঈমান ও সৎ সাহসে পূর্ণ। যারা পার্থিব ভয় ও জাগতিক লোভকে সংবরণ করতে পারেন এবং নিজেদের ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত আখেরাতের চিন্তা বাদ দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য কাজ করতে সক্ষম, তারা সত্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।
এরা সেই মানুষ, যারা ছোটখাটো পারিবারিক সম্পর্ক ও প্রিয়জনদের ভালোবাসা ছেড়ে বৃহত্তর মানবতার কথা ভাবেন, সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেন। তাদের হৃদয় পরিপূর্ণ থাকে ঐক্য ও ন্যায়বিচারের অনুভূতিতে, এবং তারা নিজের স্বার্থকে পৃথিবী ও সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে সবার জন্য ত্যাগ করতে সক্ষম হন। এমন মানুষেরাই সমাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন, সত্যের জয়ের জন্য সংগ্রাম করতে পারেন।
এই ধরনের সাহসী ও সত্যবাদী মানুষদের পথেই হাঁটতেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়শাসক এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বীর, মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি যখন শাসক, জালেমদের সামনে সত্য কথা বলার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, তখন এই সত্যোচ্চারণকে তিনি ‘সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। সাহাবী আবূ উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى. اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ؟ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمِي الْجَمْرَةَ الْأُولَى. فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ عِنْدَ الْجَمْرَةِ الْوُسْطَى فَأَعْرَضَ. عَنْهُ، فَلَمَّا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةَ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ فِي. الْغَرْزِ قَالَ: «أَيْنَ السَّائِلُ؟» قَالَ: أنَا ذَا يَا. رَسُولَ. اللَّهِ قَالَ: «أَفْضَلُ الْجِهَادِ مَنْ قَالَ كَلِمَةَ. حَقٍّ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ»
বিদায় হজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রথম জামারায় পাথর নিক্ষেপ করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল, কোন জিহাদ সর্বোত্তম?” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। পরে দ্বিতীয় জামারায় গিয়েও সেই ব্যক্তি একই প্রশ্ন করেন, এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখনও তাঁকে এড়িয়ে যান। অবশেষে তৃতীয় জামারায় (জামারাতুল আকাবায়) পাথর নিক্ষেপের পর, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উটের রেকাবীতে পা রাখলেন, তিনি বললেন, “প্রশ্নকারী কোথায়?” তখন সেই ব্যক্তি উত্তর দিলেন, “এই আমি এখানে, হে আল্লাহর রাসূল।” তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সর্বোত্তম জিহাদ সে করে, যে অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলে।”
হাদিস সূত্র: [মুসনাদ আহমদ : ১৮৮৩০; ইবন মাজাহ, ৪০১২; নাসাঈ : ৪২০৯; তিরমিযী, ২১৭৪]। শায়খ আলবানী এই হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।
আমরা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা ধরনের অন্যায়-অবিচার দেখে থাকি, কিন্তু অধিকাংশ সময় চুপ থাকি; প্রতিবাদ তো দূরের কথা, যারা প্রতিবাদ করেন তাদেরও সমর্থন জানাই না। অথচ ইসলাম ধর্মে অন্যায় করা আর অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করা একই ধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
কুরআনে আল্লাহ আমাদের সতর্ক করেছেন, সত্যকে উপলব্ধি করার পরেও তা প্রকাশ না করা এবং মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়া খুবই ভয়ানক গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন:
﴿ وَلَا تَلۡبِسُواْ ٱلۡحَقَّ بِٱلۡبَٰطِلِ. وَتَكۡتُمُواْ ٱلۡحَقَّ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٤٢ ﴾
“আর তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না।”
(“সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৪২”)
এ আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে মিথ্যার সাথে আপোস না করে সত্যের পক্ষে দৃঢ় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সত্যকে জেনে বুঝে গোপন করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কারণ এটি সমাজে অন্যায় ও অরাজকতার পথ সুগম করে।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিসে বলা হয়েছে, আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:
«مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ»
“তোমাদেড় মধ্যে যে কেও কোনো অন্যায় হতে দেখবে, “সে যেন তা হাত দিয়ে বদলে দিতে চেষ্টা করে”। যদি তা না পারে তাহলে তার ভাষা দিয়ে, “আর যদি তা-ও না পারে তাহলে অন্তর দিয়ে বদলে দিতে চেষ্টা করবে। আর এটি দুর্বলতম ঈমানের স্তর।”
(মুসলিম : ৭৪)
“অতএব, আমরা ব্যক্তি, “সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অন্যায় দেখে চুপ করে বসে থাকতে পাড়ি না”। আমাদের দায়িত্ব হলো যথাসাধ্যভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, অন্যায়কে প্রতিহত করা, এবং সত্য উচ্চারণে নির্ভীক থাকা। সত্যকে সামনে তুলে ধরে মিথ্যার ভিত্তিকে নড়িয়ে দেয়া, এবং দৃঢ়ভাবে সত্যকে তুলে ধরা আমাদের ঈমানের পরিচায়ক। এর মাধ্যমে আমরা অসত্যের দাপট নির্মূল করতে সক্ষম হব। যদি আমরা চুপচাপ বসে থাকি, তাহলে মিথ্যা আমাদের সমাজকে পেয়ে বসবে, এবং একসময় আমাদের পরিবার ও সমাজকে গ্রাস করবে।
আল্লাহ আমাদের সত্য উচ্চারণে দৃঢ়তা দান করুন এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিরোধের সাহস দিন। সকল সত্যবাদী ও সত্য উচ্চারণকারীর সহায় হোন। আর জালিম ও অত্যাচারীদের জন্য হেদায়েত ও সুপথ দান করুন। আমীন।