সুরা মুলক পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত।

সুরা মুলক পড়ার গুরুত্ব, ইসলামিক হাদিসসমূহে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত আছে, বিশেষ করে এটি দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা করার মাধ্যম হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। এখানে সুরা মুলকের ফজিলত সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস এবং রেফারেন্স তুলে ধরা হলো:

১. দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা:

হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“নিশ্চয়ই কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে,. যা একজনকে সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করা হবে.। সেটি হল তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)।”
(তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯১)

২. কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা:

হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
“একজন সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি শুনেছি যে সুরা মুলক কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, এটি দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।'”
(তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯০)

৩. সুরা মুলক পড়া রাসুলুল্লাহর (সা.) নিয়মিত আমল:

হজরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
“রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো ঘুমানোর আগে সুরা মুলক পড়া বাদ দিতেন না।”
(আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪০০)

৪. কবরের সুরক্ষা:

হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
“নবী (সা.) বলেছেন: ‘এটি (সুরা মুলক) হলো সেই সূরা, যা তার পাঠকারীকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।'”
(মুস্তাদরাক হাকিম, হাদিস নং ২০৭৪)

৫. শাফাআতের ক্ষমতা:

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কিয়ামতের দিন সুরা মুলক পাঠকাতি ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহর নিকট তাকে মাফ করিয়ে ছাড়বে।”
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৭৬৩৪)

উপরোক্ত হাদিসসমূহ থেকে বোঝা যায়, সুরা মুলক পড়ার মাধ্যমে দোজখের শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এটি কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করে এবং পরকালে সুপারিশ করবে। এজন্য, রাতে ঘুমানোর আগে সুরা মুলক পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হিসেবে গণ্য করা হয়।

সুরা মুলক পড়া ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বিভিন্ন কারণে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ বলে গণ্য হয়। এখানে সুরা মুলক পড়ার গুরুত্ব এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট হাদিস ও রেফারেন্সগুলো তুলে ধরা হলো:

আরও পড়ুন : আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত ও উপকারিতা

কেন সুরা মুলক পড়া গুরুত্বপূর্ণ?,

১. দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা:

সুরা মুলকের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এটি দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা করে। একাধিক হাদিসে এর প্রমাণ পাওয়া যায়:

  • হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
    “নিশ্চয়ই কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে, যা একজনকে সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করা হবে। সেটি হল তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)।”
    (তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯১)

২. কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা:

সুরা মুলক কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করে বলে রাসুলুল্লাহ (সা.) উল্লেখ করেছেন।

  • হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
    “একজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি শুনেছি যে সুরা মুলক কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, এটি দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।'”
    (তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯০)

৩. সুরা মুলক পড়া রাসুলুল্লাহর (সা.) নিয়মিত আমল:

সুরা মুলক রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আমল ছিল, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে তিনি এটি নিয়মিত পাঠ করতেন।

  • হজরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
    “রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো ঘুমানোর আগে সুরা মুলক পড়া বাদ দিতেন না।”
    (আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪০০)

৪. আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা ও রক্ষাকর্তার প্রতি চিন্তন:

সুরা মুলক আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা ও রক্ষাকর্তা হিসেবে তাঁর ক্ষমতা এবং নিদর্শন সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করার সুযোগ করে দেয়। এটি আমাদেরকে আল্লাহর কুদরত ও তাঁর সৃষ্টির বিস্ময় সম্পর্কে সচেতন করে।

৫. আখিরাতের প্রস্তুতি ও আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তি:

এই সূরা মানুষের মধ্যে আখিরাতের জন্য প্রস্তুতির অনুভূতি জাগায় এবং দুনিয়ার জীবনের সাময়িকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কবরের শাস্তি এবং পরকালের বিচার থেকে মুক্তির জন্য এটি সুপারিশ করবে।

  • হাদিসে উল্লেখ রয়েছে:
    “কিয়ামতের দিন সুরা মুলক তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে মাফ করিয়ে দেবে।”
    (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৭৬৩৪)

সুরা মুলক পড়ার গুরুত্ব হাদিসসমূহে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি দোজখ ও কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করার একটি বিশেষ মাধ্যম। এছাড়া, আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তাঁর ক্ষমতা ও করুণা সম্পর্কে আমাদের সচেতন রাখে এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতির উৎসাহ দেয়।

আরও পড়ুন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুনাগুন

ফজিলত,

সুরা মুলক কুরআনের ৬৭তম সূরা, যার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। সুরা মুলকের পাঠের মাধ্যমে একজন মুসলমান দোজখের শাস্তি এবং কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। নিচে এর ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস ও রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা:

হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, সুরা মুলক দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।

  • হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
    “নিশ্চয়ই কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা রয়েছে, যা একজনকে সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করা হবে। সেটি হল তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সুরা মুলক)।”
    (তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯১)

২. কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা:

সুরা মুলক কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে বলে হাদিসে বলা হয়েছে।

  • হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
    “একজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি শুনেছি যে সুরা মুলক কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, এটি দোজখের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।'”
    (তিরমিজি, হাদিস নং ২৮৯০)

৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আমল:

রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে সুরা মুলক পড়তেন।

  • হজরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
    “রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো ঘুমানোর আগে সুরা মুলক পড়া বাদ দিতেন না।”
    (আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪০০)

৪. কবরের সুরক্ষা:

এই সূরা পাঠ করলে তা পাঠকারীকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।

  • ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
    “নবী (সা.) বলেছেন: ‘এটি (সুরা মুলক) হলো সেই সূরা, যা তার পাঠকারীকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবে।'”
    (মুস্তাদরাক হাকিম, হাদিস নং ২০৭৪)

৫. সুপারিশকারী সূরা:

সুরা মুলক কিয়ামতের দিন এর পাঠকারী ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহর কাছে তাকে মাফ করাবে।

  • রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
    “কিয়ামতের দিন সুরা মুলক তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে মাফ করিয়ে দেবে।”
    (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৭৬৩৪)

সুরা মুলক পড়ার মাধ্যমে দোজখ ও কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং এটি কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হিসেবে কাজ করবে। হাদিসে সুরা মুলককে নিয়মিত পড়ার গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে।

ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ম( চিত্রসহ )
মুহাম্মদ (সা.) মৃত্যুর আগের নসিহতগুলি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *