তাবুকের যুদ্ধ

তাবুকের যুদ্ধ, যা তাবুক অভিযান নামেও পরিচিত

তাবুকের যুদ্ধ, যা তাবুক অভিযান নামেও পরিচিত, ছিল নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের শেষ সামরিক অভিযান। এটি ৯ হিজরিতে (৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে) রোমান সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল। মুতা যুদ্ধের পর আরব উপদ্বীপে মুসলিমদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়, এবং রোমানরা মুসলিম শক্তির সম্ভাব্য অগ্রগতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। গ্রীষ্মকালীন কষ্টকর সময়ে মুসলিম বাহিনী তাবুক অঞ্চলে অবস্থান নেয় এবং কৌশলগত কারণে রোমান বাহিনী যুদ্ধ এড়িয়ে চলে যায়, ফলে সংঘর্ষ ছাড়াই মুসলিমদের প্রতিপত্তি ও প্রভাব আরো বৃদ্ধি পায়।

ইতিহাস

হুনায়েন যুদ্ধের পর হতাশ হয়ে মদিনার সাবেক আউস নেতা ও খ্রিস্টান ধর্মগুরু আবু আমের আর-রাহেব সিরিয়ায় চলে যান, যেখানে খ্রিস্টানদের প্রধান কেন্দ্র ছিল। সেখানে গিয়ে তিনি রোম সম্রাটকে মদিনায় হামলার জন্য প্ররোচনা দিতে থাকেন এবং মদিনার মুনাফিকদের সাথে যোগসাজশ রেখে মসজিদে ক্বোবার কাছে ‘মসজিদে যেরার’ নামে একটি মসজিদ তৈরি করেন, যা ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তিনি রোম সম্রাটকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, মদিনায় নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে গোপনে একটি বিরাট দল রয়েছে, যারা বাহ্যিকভাবে মুসলিমদের সাথে মিশে আছে। রোম থেকে আক্রমণ হলে তারা মুহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং রোমকদের সহজ বিজয় অর্জনে সহায়তা করবে।

এই রাজনৈতিক প্ররোচনা ও বাস্তবতা রোম সম্রাটকে উৎসাহিত করে। তিনি নবীন ইসলামী শক্তিকে নির্মূলের সংকল্প নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেন, যাতে রোম সাম্রাজ্যের আরব এলাকায় কোনো ধরনের ফিৎনা বা বিদ্রোহ দেখা না দেয়।

মুহাম্মাদ (সা.)মুহাম্মাদ, আল্লাহর রাসুল মদিনায় মসজিদে নববীর দরজায় খোদাই করা

মদীনায় রোমক ভীতি

রোম সম্রাটের ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্ত্ততির খবর মদীনায় পৌঁছে গেলে মুসলমানদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ভীতির সঞ্চার হয়। বিশেষ করে মুনাফিকদের অধিকমাত্রায় অপপ্রচারের ফলে সাধারণ ও দুর্বলমনা মুসলমানদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।


রোমকদের যুদ্ধ যাত্রার খবর

শাম থেকে আগত তৈল ব্যবসায়ী নাবাত্তী দলের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়া যায় যে, রোম সম্রাট হেরাক্লিয়াস তার একজন বিখ্যাত সেনাপতির অধীনে ৪০,০০০ সৈন্যের বিশাল বাহিনী প্রস্তুত করেছেন, যার মধ্যে লাখাম, জোযামসহ বিভিন্ন খ্রিস্টান গোত্র এবং অন্যান্য আরব মিত্র গোত্রও রয়েছে। এই বাহিনীর অগ্রবর্তী দল ইতিমধ্যে সিরিয়ার বালক্বা নগরে পৌঁছে গেছে। এই ভীতিকর সংবাদটি এমন সময় আসে যখন মদিনায় গ্রীষ্মকাল চলছে এবং ফল পাকার মৌসুম। মানুষের মধ্যে তখন দারিদ্র্য ও ক্ষুধার তীব্রতা ছিল, আর রাস্তা ছিল বহু দূর ও ক্লেশকর।


যুদ্ধযাত্রা

আরব এলাকায় রোমকদের প্রবেশ করার আগেই তাদেরকে রোম সীমান্তের মধ্যেই আটকে ফেলার জন্যে যুদ্ধ কৌশল নেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। যাতে আরব ও মুসলিম এলাকা অহেতুক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্য সময় হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ‘তাওরিয়া’ করেন। অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার কথা বলে অন্যদিকে যেতেন। কিন্তু এবার তিনি সরাসরি ঘোষণা করলেন যে, “রোমকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে হবে। অতঃপর এ ব্যাপারে তিনি সবাইকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করতে থাকেন”। যাতে ভীতি ঝেড়ে ফেলে সবাই যুদ্ধের জন্য জোরে শোরে প্রস্ত্ততি গ্রহণ করতে পারে”। দেখা গেল যে, একমাত্র মুনাফিকরা ব্যতীত সবাই যুদ্ধে যাত্রার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলো”। মক্কাবাসীদের নিকটে ও অন্যান্য আরব গোত্রগুলির নিকটে খবর পাঠানো হ’ল। একই সময়ে সূরা তওবার অনেকগুলি আয়াত নাযিল হ’ল মুনাফিকদের যুদ্ধভীতির বিরুদ্ধে ও মিথ্যা ওযর-আপত্তির বিরুদ্ধে।


দান

ইসলামের ইতিহাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঘনিষ্ঠ সাহাবীদের দানের উদাহরণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.) সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি জিহাদের জন্য নিজের সম্পদ উৎসর্গ করে দানের সূচনা করেন। তিনি তাঁর পুরো সম্পদ আল্লাহ ও রাসূলের পথে নিবেদন করেন, এবং নিজ পরিবার-পরিজনের জন্য আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে কিছুই রেখে আসেননি।

অন্যদিকে, হযরত ওমর (রা.) তাঁর সমস্ত সম্পদের অর্ধেক দান করেন। তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা.) পাঁচবারে প্রচুর দান করেন। তিনি ৯০০ উট, ১০০ ঘোড়া, ১০০০ স্বর্ণমুদ্রা এবং ২০০ উক্বিয়া রৌপ্য মুদ্রা দান করেন। এমনকি ত্রিশ হাজার সৈন্যের ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ নিজ খরচে বহন করেন।

তদ্ব্যতীত, আবদুর রহমান বিন আওফ ২০০ উক্বিয়া রৌপ্যমুদ্রা, আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্ত্বালিবও অনেক সম্পদ এবং আছেম বিন আদী ৯০ অসাক্ব অর্থাৎ প্রায় ১৩,৫০০ কেজি খেজুর দান করেন। এছাড়া ত্বালহা, সা‘দ বিন ওবাদাহ, মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহসহ আরও অনেকে দান করেন, যা এক অসাধারণ উদাহরণ হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে।

এভাবে সাহাবীদের দানের এ অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা ইসলামে সহমর্মিতার চর্চার এবং আল্লাহর পথে ত্যাগের দৃষ্টান্ত হিসেবে যুগ যুগ ধরে মুসলিম সমাজে অনুপ্রাণিত করেছে।

তাবুকের যুদ্ধ
আল-আকসা মসজিদ

তাবুকের পথে মুসলিম বাহিনী

৯ম হিজরীর রজব মাসে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৩০,০০০ সৈন্য নিয়ে তাবুক অভিযানে রওয়ানা হন। এটি ছিল তাঁর জীবনের বৃহত্তম সামরিক অভিযান। এই সময় তিনি মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাহ আনসারীকে (কিছু মতামতে সেবা‘ বিন আরফাতা) মদীনার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেন এবং হযরত আলীকে তার পরিবারের দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে মদীনায় রেখে যান।

তবে, মুনাফিকেরা হযরত আলীকে ভীতু ও কাপুরুষ বলে অপবাদ দিলে তিনি বিরক্ত হন এবং রসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুনরায় পথে বেরিয়ে পড়েন। পথিমধ্যে তিনি রসূলুল্লাহ (সা.)-এর সেনাদলে যোগ দেন, এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে মদীনায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

সেনাবাহিনীতে বাহক ও খাদ্য সংকট

তাবুক অভিযানে অংশগ্রহণকারী বিশাল সেনাবাহিনীর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ দান-সদকা করা হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে প্রতি ১৮ জন সৈনিকের জন্য মাত্র একটি উট ছিল, যার উপরে পালাক্রমে তারা সওয়ার হতেন। খাদ্য সংকট এতটাই তীব্র হয়ে যায় যে, অনেক সময় তারা গাছের ছাল ও পাতা খেতে বাধ্য হন, যার ফলে তাদের ঠোঁট ফুলে যায়।

পানির অভাব এতই চরমে পৌঁছায় যে, কখনো কখনো তারা উটের কুঁজো থেকে পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হন। এই দুর্দশার কারণে তাবুক অভিযানের সেনাদলকে “জায়শুল উসরাহ” বা “অভাব-অনটনের বাহিনী” বলা হয়।

অভিযানের পথে যখন সেনাবাহিনী মারাত্মক পানি সংকটে পড়ে, তখন তারা রসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অভিযোগ জানান। রসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করেন। এতে সেনাবাহিনী প্রশান্তিতে পানি পান করে এবং তাদের পাত্রসমূহও পরিপূর্ণভাবে ভরে নেয়।

উপদেশবাণী

মুসলিম বাহিনী তাবুকে অবতরণ করে যথারীতি শিবির স্থাপন করল এবং রোমকদের অপেক্ষা করতে থাকল। এই অবস্থায় আল্লাহর হাবিব ও ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তার সেনা দলের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ ভাষণ দেন।


ফলাফল

মুসলিম বাহিনীর তাবুকে উপস্থিতির খবর শুনে রোমক ও তাদের মিত্ররা ভীত হয়ে দের সীমান্তের অভ্যন্তরে বিভিন্ন শহরে বিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল। তৎকালীন বিশ্বশক্তির এই বিনাযুদ্ধে পলায়নের ফলে সমস্ত আরব উপদ্বীপে মুসলিম শক্তির জন্য এমন সব অযাচিত রাজনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। যেমন-

  1. আয়লার খৃষ্টান শাসনকর্তা ইউহান্নাহ বিন রু’বাহ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে সন্ধি করেন এবং তাঁকে জিযিয়া প্রদান করেন।
  2. আযরুহ ও জারবা -এর নেতৃবৃন্দ এসে জিযিয়া প্রদান করে।
  3. হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাদের প্রত্যেককে সন্ধির চুক্তিনামা প্রদান করে, যা তাদের কাছে রক্ষিত থাকে। শুধুমাত্র জিযিয়ার বিনিময়ে তাদের জান-মাল-ইযযত ও ধর্মের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
  4. মুসলিম প্রধান দূমাতুল জান্দালের শাসনকর্তা উকায়দিরের কাছে ৪২০ জন অশ্বারোহী সৈন্যের একটি বাহিনী সহ খালেদ বিন ওয়ালীদকে প্রেরণ করেন। যাত্রাকালে তিনি বলে দেন যে, إ ‘তুমি তাকে জংলী নীল গাভী শিকার করা অবস্থায় দেখতে পাবে।’ সেটাই হ’ল। চাঁদনী রাতে দুর্গটি পরিষ্কার দেখা যায়, এমন দূরত্বে পৌঁছে গেলে হঠাৎ দেখা গেল যে, একটি নীল গাভী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে দুর্গদ্বারে শিং দিয়ে গুঁতা মারছে। এমন সময় উকায়দির গাভীটাকে শিকার করার জন্য লোকজন নিয়ে বের হলেন। এই সুযোগে খালেদ তাকে বন্দী করে ফেললেন।
  5. সন্ধিচুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে রোমক বাহিনীর সাথে কোনরূপ সংঘর্ষ ও রক্তক্ষয় ছাড়াই বিজয় সম্পন্ন হয়।
  6. বিশ্বশক্তি রোমকবাহিনীর যুদ্ধ ছাড়াই পিছু হটে যাওয়ায় মুসলিম শক্তির প্রভাব আরব ও আরব এলাকার বাইরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
  7. রোমকদের কেন্দ্রবিন্দু সিরিয়া ও তার আশপাশের সকল খৃষ্টান শাসক ও গোত্রীয় নেতৃবৃন্দ মুসলিম শক্তির সাথে স্বেচ্ছায় সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর করে। ফলে আরব এলাকা বহিঃশক্তির হামলা থেকে নিরাপদ হয়।
  8. শুধু অপ্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক শক্তি হিসাবে নয়, সর্বোচ্চ মানবাধিকার নিশ্চিতকারী বাহিনী হিসাবে মুসলমানদের সুনাম-সুখ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে খৃষ্টানরা মুসলমান হয়ে যায় ।

মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যার চেষ্টা

মুবারকপুরী বলেন, মদীনায় ফেরার পথে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) (ছাঃ) একটি সংকীর্ণ গিরিসংকট অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তার সাথে কেবল আম্মার বিন ইয়াসির ও হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান ছিলেন। প্রথমোক্ত জন রাসূলের উষ্ট্রীর লাগাম ধরে সামনে হাঁটছিলেন এবং শেষোক্ত জন পিছনে থেকে উষ্ট্রী হাঁকাচ্ছিলেন। মুসলিম বাহিনী তখন পিছনে উপত্যকায় ছিল। ১২ জন মুনাফিক যারা এতক্ষণ সুযোগের অপেক্ষায় ছিল, তারা মুখোশ পরে দ্রুত এগিয়ে এসে ঐ গিরিসংকটে প্রবেশ করল এবং পিছন থেকে অতর্কিতে রাসূলকে হত্যা করতে উদ্যত হল। হঠাৎ পদশব্দে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পিছন ফিরে তাকান এবং তার সঙ্গী হুযায়ফাকে ওদের ঠেকানোর নির্দেশ দেন। হুযায়ফা তার ঢাল দিয়ে ওদের বাহনগুলির মুখের উপরে আঘাত করেন। ‘তারা চেয়েছিল সেটাই করতে, যা তারা পারেনি’ (তওবাহ ৯/৭৪)।


মুহাম্মদ (সাঃ) কে হত্যার চেষ্টা

মুবারকপুরীর বর্ণনায় বর্ণিত এই ঘটনাটি ইসলামের প্রাথমিক যুগের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যেখানে মুনাফিকরা (ভণ্ড বিশ্বাসী) প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর উপর আক্রমণের ষড়যন্ত্র করেছিল। এটি ঘটেছিল নবীজীর মদিনায় ফেরার পথে একটি সংকীর্ণ গিরিসংকটে। সেখানে নবীজীর সাথে ছিলেন শুধু আম্মার বিন ইয়াসির ও হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান।

মুসলিম বাহিনী তখন পিছনে ছিল, আর ১২ জন মুনাফিক মুখোশ পরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল এই সংকীর্ণ জায়গায়। তারা নবীজীকে পিছন থেকে আক্রমণ করতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে নবীজী পদশব্দ শুনে পিছন ফিরে তাকান এবং পরিস্থিতি বুঝতে পারেন। নবীজী তখন হুযায়ফাকে নির্দেশ দেন আক্রমণকারীদের থামাতে। হুযায়ফা তাদের বাহনের মুখে আঘাত করেন, এবং আল্লাহর সাহায্যে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

আল্লাহ এই ষড়যন্ত্রের কথাই সূরা তওবার আয়াতে উল্লেখ করেছেন – “তারা চেয়েছিল সেটাই করতে, যা তারা পারেনি” (তওবাহ ৯:৭৪)। এই ঘটনা মুনাফিকদের বিশ্বাসঘাতকতার একটি উদাহরণ হিসেবে ইসলামী ঐতিহ্যে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছে।


সংক্ষিপ্ত পাতা

আরো পড়ুন
মুহাম্মাদ (সা.)
মুহাম্মাদ, আল্লাহর রাসুল মদিনায় মসজিদে নববীর দরজায় খোদাই করা
বাংলাদেশের ইসলামের ইতিহাস
আবু বকর (রাঃ)
খন্দকের যুদ্ধখন্দকের যুদ্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *