আয়াতুল কুরসির ফজিলত ও উপকারিতা আয়াতুল কুরসি (সূরা আল-বাকারা, ২:২৫৫) ইসলামের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আয়াত, এবং এটি পাঠ করার মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য নানা উপকারের কথা হাদিস ও ইসলামি শিক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। আয়াতুল কুরসি পড়ার বিশেষ ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিসের রেফারেন্স নিম্নরূপ:
রাতে ঘুমানোর আগে পড়া:
- রাতে ঘুমানোর আগে পড়া:
আয়াতুল কুরসি রাতে ঘুমানোর আগে পড়ার বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে সহীহ হাদিসে বর্ণনা রয়েছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশে যাকাতের মাল পাহারা দিচ্ছিলেন। তখন একজন লোক এসে কিছু নিতে চাইলে আবু হুরাইরা তাকে ধরেন। লোকটি বলল, “আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আপনাকে এমন কিছু শেখাব যা আপনার উপকারে আসবে।” এরপর লোকটি তাকে আয়াতুল কুরসি পড়তে বলে এবং বলল, “যদি আপনি রাতে ঘুমানোড় আগে আয়াতুল কুরসি পড়েন, তাহলে আল্লাহ আপনার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত করবেন এবং শয়তান আপনার কাছাকাছি আসতে পারবে না।”
এই ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে বর্ণনা করলে, তিনি বললেন, “সে (যে তোমাকে এটা শিখিয়েছে) মিথ্যাবাদী হলেও এ কথা সত্য।”
এই হাদিসটি সহীহ বুখারী (হাদিস নম্বর: ৩২৭৫)-এ উল্লেখ রয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি বিশেষ উপায়।
নিরাপত্তা ও রক্ষা পাওয়ার জন্য:
আয়াতুল কুরসি পাঠ করার মাধ্যমে নিরাপত্তা ও রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে একাধিক হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস রেফারেন্স দেওয়া হলো:
- নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিটি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, তার এবং জান্নাতের মধ্যে মৃত্যুই কেবল বাধা।”
- (সুনান আন-নাসাঈ, হাদিস নম্বর: ৯৯৩৮)
- নিরাপত্তার জন্য আয়াতুল কুরসি:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য ৭০,০০০ ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন, যারা তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রক্ষা করবেন।”
- (তিরমিজি, হাদিস নম্বর: ২৮৭৭)
এই হাদিসগুলোতে আয়াতুল কুরসি পড়ার মাধ্যমে নিরাপত্তা ও রক্ষা পাওয়ার গুরুত্ব এবং ফজিলত স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন