ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব

ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার গুরুত্বের উপর বারবার জোর দিয়েছেন এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ভাঙার ব্যাপারে কড়া সতর্কতা প্রদান করেছেন। ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক ভাঙা বা ছিন্ন করা কঠিন অপরাধ হিসেবে গণ্য। কুরআন এবং হাদিসের আলোকে এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা তুলে ধরা হলো:

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণতি:

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণতি সম্পর্কে ও ৮কুরআন ও হাদিসে কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ইসলামে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর ফলস্বরূপ আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি এবং রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

১. আল্লাহর অভিশাপ ও ধ্বংসের শিকার হওয়া:

আল্লাহ তাআলা কুরআনে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন:

القرآن:
“যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করে এবং যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, তাদের জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদের জন্য রয়েছে আবাস জাহান্নাম।”
— সুরাহ রাদ (১৩:২৫)

২. জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়া:

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:

حَدِيْث:
“আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
— সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৫৬

৩. রিজিক ও আয়ু কমে যাওয়া:

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে একজন মানুষের রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং তার আয়ু দীর্ঘ হয়, আর সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে এর বিপরীত ঘটে।

حَدِيْث:
“যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক বৃদ্ধি পাক এবং তার আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।”
— সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৫৭

৪. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার মতো, আর সম্পর্ক ছিন্ন করা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার সমান।

حَدِيْث:
“আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আল্লাহ, আমি ‘রহম’ (আত্মীয়তা) সৃষ্টি করেছি। যে ব্যক্তি তা বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব, আর যে ব্যক্তি তা ছিন্ন করবে, আমি তার সম্পর্ক ছিন্ন করব।’”
— সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৭

উপরের কুরআন ও হাদিসের আলোকে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ছিন্ন করা আল্লাহর শাস্তির কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: নামাজের সুন্নত

ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ফরজ

ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ফরজ (বাধ্যতামূলক) হিসেবে বিবেচিত। কুরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

১. কুরআনের নির্দেশনা:

আল্লাহ তাআলা কুরআনে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন:

القرآن:
“আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরকে অনুরোধ কর এবং (ভয় কর) আত্মীয়তার সম্পর্ক। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর নিরীক্ষণকারী।”
— সুরাহ আন-নিসা (৪:১)

এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য এবং এটি রক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

২. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা জান্নাতের শর্ত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশের শর্ত সম্পর্কে বলেছেন:

حَدِيْث:
“যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক বৃদ্ধি পাক এবং তার আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।”
— সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৫৭

৩. আল্লাহর সাথে সম্পর্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ:

আল্লাহ তাআলা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকে নিজের সাথে সম্পর্ক রাখার সাথে তুলনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:

حَدِيْث:
“আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আল্লাহ, আমি ‘রহম’ (আত্মীয়তা) সৃষ্টি করেছি। যে ব্যক্তি তা বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব, আর যে ব্যক্তি তা ছিন্ন করবে, আমি তার সম্পর্ক ছিন্ন করব।’”
— সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৭

৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ইবাদতের অংশ:

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। এটি কেবল সামাজিক সম্পর্ক রক্ষা নয়, বরং আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং একটি ইবাদতের অংশ।

حَدِيْث:
“যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে, আল্লাহ তার জীবন ও রিজিকে বরকত দান করেন।”
— তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯০৮

৫. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর প্রতি হুঁশিয়ারি:

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করেছেন। কুরআনে বলা হয়েছে:

القرآن:
“যারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করে এবং যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, তাদের জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদের জন্য রয়েছে আবাস জাহান্নাম।”
— সুরাহ রাদ (১৩:২৫)

উপরের কুরআন ও হাদিসের আলোকে, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ইসলামে ফরজ এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ইসলামে একটি গুরুতর অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তি রয়েছে।

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, এবং এর ফলে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন।

হাদিসের রেফারেন্স:

حَدِيْث:
“لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ”
“আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৫৬
সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৪

এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে, সে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

আরও একটি হাদিস:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

“الرحم معلقة بالعرش تقول: من وصلني وصله الله، ومن قطعني قطعه الله”
“আত্মীয়তার সম্পর্ক আরশের সাথে সংযুক্ত থাকে। যে ব্যক্তি তা রক্ষা করে, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেন, আর যে ব্যক্তি তা ছিন্ন করে, আল্লাহ তার সম্পর্ক ছিন্ন করেন।”
সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৭

উপরোক্ত হাদিসগুলোতে বোঝা যায় যে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ, এবং এর ফলে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রক্ষার সমান মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন। আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তা ছিন্ন করা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রাখার বা ছিন্ন করার মতো গুরুতর বিষয়।

হাদিসের রেফারেন্স:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

حَدِيْث:
“إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ، حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهُ قَامَتِ الرَّحِمُ فَقَالَتْ: هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ مِنَ الْقَطِيعَةِ. قَالَ: نَعَمْ، أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ؟ قَالَتْ: بَلَى يَا رَبِّ. قَالَ: فَذَاكِ لَكِ.”
“আল্লাহ যখন সৃষ্টি করলেন, তখন আত্মীয়তার বন্ধন (‘রহম’) দাঁড়িয়ে বলল: এ হলো সেই স্থান, যেখানে আমি তোমার নিকট সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ বললেন: হ্যাঁ, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট হবে না যে, আমি সেই ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখব যে তোমার সাথে সম্পর্ক রাখে এবং তার সম্পর্ক ছিন্ন করব যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে? আত্মীয়তার বন্ধন বলল: হ্যাঁ, হে আমার প্রভু।”
সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৭
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৫৪

এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করার সমান, আর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো গুরুতর অপরাধ।

আরও একটি হাদিস:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

حَدِيْث:
“الرحم معلقة بالعرش تقول: من وصلني وصله الله، ومن قطعني قطعه الله”
“আত্মীয়তার সম্পর্ক আরশের সাথে ঝুলন্ত থাকে এবং বলতে থাকে: যে আমাকে রক্ষা করবে, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবেন; আর যে আমাকে ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।”
সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৮

এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায়, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা একজন মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক এবং আল্লাহ তাআলা তা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: ওযরগ্রস্ত, অসুস্থ ব্যক্তি ও মুসাফিরের জন্য নামাজের বিধান

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ফজিলত

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ফজিলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। ইসলাম আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হিসেবে গণ্য করেছে এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বরকত ও কল্যাণ লাভ হয়। নিম্নে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার কয়েকটি ফজিলত উল্লেখ করা হলো:

১. আয়ু বৃদ্ধি ও রিজিকে বরকত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে মানুষের আয়ু দীর্ঘ হয় এবং তার রিজিক বৃদ্ধি পায়।

حَدِيْث:
“যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক বৃদ্ধি পাক এবং তার আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।”
— সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৫৭

২. জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম:

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা একজন ব্যক্তির জন্য জান্নাতে প্রবেশের কারণ হতে পারে। এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

حَدِيْث:
“আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, আর সম্পর্ক ছিন্ন করা মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।”
— সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম

৩. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা:

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার সমান। যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে, আল্লাহ তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেন।

حَدِيْث:
“আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আল্লাহ, আমি ‘রহম’ (আত্মীয়তা) সৃষ্টি করেছি। যে ব্যক্তি তা বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব, আর যে ব্যক্তি তা ছিন্ন করবে, আমি তার সম্পর্ক ছিন্ন করব।’”
— সহিহ বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৮৭

৪. জীবনের দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে, আল্লাহ তার জীবনে বরকত দেন এবং তার দুঃখ-দুর্দশা দূর করেন।

حَدِيْث:
“যে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে, আল্লাহ তার জীবন ও রিজিকে বরকত দান করেন।”
— তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯০৮

৫. আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভ:

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা আল্লাহর রহমত লাভের উপায়। যারা এ সম্পর্ক বজায় রাখে, তারা আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করে এবং তাদের জীবনে শান্তি ও সুখ ফিরে আসে।

৬. পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা:

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব, এবং সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করে। এটি সামাজিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে এবং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহানুভূতি বাড়ায়।

উপসংহারে, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা ইসলামে একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। এর মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক কল্যাণ ও বরকত লাভ করা যায়।

আরও পড়ুন

ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ম চিত্রসহ
আল-আকসা মসজিদের ইতিহাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *