بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম! |
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম! অর্থ: (শুরু করছি আল্লাহর নামে’) যিনি পরম করুণাময়!, অতি দয়ালু وَ النّٰزِعٰتِ غَرْقًاۙ(1,) উচ্চারণঃ ওয়ান্না-ঝি‘আ-তি গারকা-। অর্থ: শপথ সেই ফেরেশতাগণের!, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে,, وَّ النّٰشِطٰتِ نَشْطًاۙ(2,) উচ্চারণঃ ওয়ান্না-শিতা-তি নাশতা-। অর্থ: শপথ তাদের!, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে;, وَّ السّٰبِحٰتِ سَبْحًاۙ(3,) উচ্চারণঃ ওয়াছছা-বিহা-তি ছাবহা-। অর্থ: শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে, فَالسّٰبِقٰتِ سَبْقًاۙ(4,) উচ্চারণঃ ফাছছা-বিকা-তি ছাবকা-। অর্থ: শপথ তাদের., যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর! হয় এবং, فَالْمُدَبِّرٰتِ اَمْرًاۘ(5,) উচ্চারণঃ ফাল মুদাব্বিরা-তি আমরা-। অর্থ: শপথ তাদের!, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে., কেয়ামত অবশ্যই হবে।,, یَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُۙ(6,) উচ্চারণঃ ইয়াওমা তারজুফুররা-জিফাহ। অর্থ: যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী, تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُؕ(7,) উচ্চারণঃ তাতবা‘উহার রা-দিফাহ। অর্থ: অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী; قُلُوْبٌ یَّوْمَىٕذٍ وَّاجِفَةٌۙ(8,) উচ্চারণঃ কূলূবুইঁ ইয়াওমাইযিওঁ ওয়া-জিফাহ। অর্থ: সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে। اَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌۘ(9,) উচ্চারণঃ আবসা-রুহা-খা-শি‘আহ। অর্থ: তাদের দৃষ্টি নত হবে। یَقُوْلُوْنَ ءَاِنَّا لَمَرْدُوْدُوْنَ فِی الْحَافِرَةِؕ(10,) উচ্চারণঃ ইয়াকূ লূনা আ ইন্না-লামারদূদূনা ফিল হা-ফিরাহ। অর্থ: তারা বলেঃ আমরা! কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই-, ءَاِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةًؕ(11,) উচ্চারণঃ আইযা-কুন্না-‘ইজা-মান নাখিরাহ। অর্থ: গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও? قَالُوْا تِلْكَ اِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌۘ(12,) উচ্চারণঃ কা-লূতিলকা ইযান কাররাতুন খা-ছিরাহ। অর্থ: তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে! فَاِنَّمَا هِیَ زَجْرَةٌ وَّاحِدَةٌۙ(13,) উচ্চারণঃ ফাইন্নামা-হিয়া ঝাজরাতুওঁ ওয়া-হিদাহ । অর্থ: অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ, فَاِذَا هُمْ بِالسَّاهِرَةِؕ(14,) উচ্চারণঃ ফাইযা-হুম বিছছা-হিরাহ। অর্থ: তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে। هَلْ اَتٰىكَ حَدِیْثُ مُوْسٰىۘ(15,) উচ্চারণঃ হাল আতা-কা হাদীছুমূছা-। অর্থ: মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি? اِذْ نَادٰىهُ رَبُّهٗ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًىۚ(16,) উচ্চারণঃ ইযনা-দা-হু রাব্বুহূবিলওয়া-দিল মুকাদ্দাছি তুওয়া-। অর্থ: যখন তার পালনকর্তা তাকে! পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,, اِذْهَبْ اِلٰى فِرْعَوْنَ اِنَّهٗ طَغٰى٘ۖ(17,) উচ্চারণঃ ইযহাব ইলা-ফির‘আওনা ইন্নাহূতাগা-। অর্থ: ফেরাউনের কাছে যাও!, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।, فَقُلْ هَلْ لَّكَ اِلٰۤى اَنْ تَزَكّٰىۙ(18,) উচ্চারণঃ ফাকুল হাল্লাকা ইলাআন তাঝাক্কা-। অর্থ: অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার! আগ্রহ আছে কি?,, وَ اَهْدِیَكَ اِلٰى رَبِّكَ فَتَخْشٰىۚ(19,) উচ্চারণঃ ওয়া আহদিয়াকা ইলা-রাব্বিকা ফাতাখশা-। অর্থ: আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব!, যাতে তুমি তাকে ভয় কর।,, فَاَرٰىهُ الْاٰیَةَ الْكُبْرٰى٘ۖ(20,) উচ্চারণঃ ফাআরা-হুল আ-য়াতাল কুবরা-। অর্থ: অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল। فَكَذَّبَ وَعَصٰى٘ۖ(21,) উচ্চারণঃ ফাকাযযাবা ওয়া‘আসা-। অর্থ: কিন্তু সে মিথ্যারোপ, করল এবং অমান্য করল। ثُمَّ اَدْبَرَ یَسْعٰى٘ۖ(22,) উচ্চারণঃ ছু ম্মা আদবারা ইয়াছ‘আ-। অর্থ: অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল। فَحَشَرَ فَنَادٰى٘ۖ(23,) উচ্চারণঃ ফাহাশারা ফানা-দা-। অর্থ: সে সকলকে সমবেত করল, এবং সজোরে আহবান করল, فَقَالَ اَنَا رَبُّكُمُ الْاَعْلٰى٘ۖ(24,) উচ্চারণঃ ফাকা-লা আনা রাব্বুকুমুল আ‘লা-। অর্থ: এবং বললঃ আমিই, তোমাদের সেরা পালনকর্তা।, فَاَخَذَهُ اللّٰهُ نَكَالَ الْاٰخِرَةِ وَ الْاُوْلٰىؕ(25,) উচ্চারণঃ ফাআখাযাহুল্লা-হু নাকা-লাল আ-খিরাতি ওয়াল ঊলা-। অর্থ: অতঃপর আল্লাহ তাকে! পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন। اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَنْ یَّخْشٰى(26,) উচ্চারণঃ ইন্না ফী যা-লিকা লা‘ইবরাতাল লিমাইঁ ইয়াখশা-। অর্থ: যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্য!ই এতে শিক্ষা রয়েছে। ﮒ ءَاَنْتُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمِ السَّمَآءُؕ-بَنٰىهَاٙ(27,) উচ্চারণঃ আ আনতুম আশাদ্দুখালকান আমিছ ছামাউ বানা-হা-। অর্থ: তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন, না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوّٰىهَاۙ(28,) উচ্চারণঃ রাফা‘আ ছামকাহা-ফাছাওয়া-হা-। অর্থ: তিনি একে উচ্চ করেছেন! ও সুবিন্যস্ত করেছেন। وَ اَغْطَشَ لَیْلَهَا وَ اَخْرَ جَ ضُحٰىهَا۪(29,) উচ্চারণঃ ওয়া আগতাশা লাইলাহা-ওয়া আখরাজা দুহা-হা-। অর্থ: তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন! এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।, وَ الْاَرْضَ بَعْدَ ذٰلِكَ دَحٰىهَاؕ(30) উচ্চারণঃ ওয়াল আর দা বা‘দা যা-লিকা দাহা-হা-। অর্থ: পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।, اَخْرَ جَ مِنْهَا مَآءَهَا وَ مَرْعٰىهَا۪(31,) উচ্চারণঃ আখরাজা মিনহা-মাআহা-ওয়া মার‘আ-হা-। অর্থ: তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি! ও ঘাম নির্গত করেছেন, وَ الْجِبَالَ اَرْسٰىهَاۙ(32,) উচ্চারণঃ ওয়াল জিবা-লা আরছা-হা। অর্থ: পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, مَتَاعًا لَّكُمْ وَ لِاَنْعَامِكُمْؕ(33,) উচ্চারণঃ মাতা-‘আল্লাকুম ওয়ালি আন‘আ-মিকুম। অর্থ:তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে। فَاِذَا جَآءَتِ الطَّآمَّةُ الْكُبْرٰى٘ۖ(34,) উচ্চারণঃ ফাইযা-জাআত্তিত্তাম্মাতুল কুবরা-। অর্থ: অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে। یَوْمَ یَتَذَكَّرُ الْاِنْسَانُ مَا سَعٰىۙ(35,) উচ্চারণঃ ইয়াওমা ইয়াতাযাক্কারুল ইনছা-নুমা-ছা‘আ-। অর্থ: অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার! কৃতকর্ম স্মরণ করবে وَ بُرِّزَتِ الْجَحِیْمُ لِمَنْ یَّرٰى(36,) উচ্চারণঃ ওয়া বুররিঝাতিল জাহীমুলিমাইঁ ইয়ারা-। অর্থ: এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম! প্রকাশ করা হবে, فَاَمَّا مَنْ طَغٰىۙ(37,) উচ্চারণঃ ফাআম্মা-মান তাগা-। অর্থ: তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; وَ اٰثَرَ الْحَیٰوةَ الدُّنْیَاۙ(38,) উচ্চারণঃ ওয়া আ-ছারাল হায়া-তাদ্দুনইয়া-। অর্থ: এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, فَاِنَّ الْجَحِیْمَ هِیَ الْمَاْوٰىؕ(39,) উচ্চারণঃ ফাইন্নাল জাহীমা হিয়াল মা’ওয়া-। অর্থ: তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। وَ اَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ. وَ نَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوٰىۙ,(40,) উচ্চারণঃ ওয়া আম্মা-মান খা-ফা মাকা!-মা রাব্বিহী ওয়া নাহান্নাফছা ‘আনিল হাওয়া-।, অর্থ: পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান! হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে, নিবৃত্ত রেখেছে,. فَاِنَّ الْجَنَّةَ هِیَ الْمَاْوٰىؕ(41,) উচ্চারণঃ ফাইন্নাল জান্নাতা হিয়াল মা’ওয়া। অর্থ: তার ঠিকানা হবে জান্নাত। یَسْــٴَـلُوْنَكَ عَنِ السَّاعَةِ اَیَّانَ مُرْسٰىهَاؕ(42,) উচ্চারণঃ ইয়াছা‘আলূনাকা ‘আনিছ ছা-‘আতি আইইয়া-না মুরছা-হা-। অর্থ: তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে? فِیْمَ اَنْتَ مِنْ ذِكْرٰىهَاؕ(43,) উচ্চারণঃ ফীমা আনতা মিন যিকরা-হা-। অর্থ: এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ? اِلٰى رَبِّكَ مُنْتَهٰىهَاؕ(44,) উচ্চারণঃ ইলা-রাব্বিকা মুনতাহা-হা-। অর্থ: এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে। اِنَّمَاۤ اَنْتَ مُنْذِرُ مَنْ یَّخْشٰىهَاؕ(45,) উচ্চারণঃ ইন্নামাআনতা মুনযিরু মাইঁ ইয়াখশা-হা-। অর্থ: যে একে ভয় করে!, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন। كَاَنَّهُمْ یَوْمَ یَرَوْنَهَا لَمْ یَلْبَثُوْۤا اِلَّا عَشِیَّةً اَوْ ضُحٰىهَا۠(46,) উচ্চারণঃ কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনাহা-লাম ইয়ালবাছূইল্লা-‘আশিইইয়াতান আও দুহা- হা। অর্থ: যেদিন তারা একে দেখবে!, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা! এক সকাল অবস্থান., করেছে। |
Quraan Shareef |