সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যাডমিন্টন খেলা বা ব্যক্তিগত কাজ করা জায়েজ নয়

সরকারি বিদ্যুৎ বা সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়, কারণ এটি অন্যায়ভাবে সাধারণ জনগণের অধিকার লঙ্ঘন এবং একটি ধোঁকা বা খিয়ানত (বিশ্বাসঘাতকতা)। ইসলামে খিয়ানত স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। কুরআন এবং হাদিসে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

কুরআন থেকে প্রমাণ:

  1. আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
  • “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা আমানত (বিশ্বাস) যথাযথভাবে তাদের (হকদারদের) কাছে পৌঁছে দাও” (সূরা আন-নিসা, ৪:৫৮)। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন আমানতের খেয়াল রাখার। সরকারি সম্পদ বা বিদ্যুৎও একটি আমানত যা জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য নির্ধারিত। এটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করলে আমানতের খেয়ানত হয়।

হাদিস থেকে প্রমাণ:

  1. নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
  • “যে ব্যক্তি আমাদের কোনো কাজে নিয়োজিত হবে এবং আমাদের কাছ থেকে কিছু লুকাবে, তা যেন তার জন্য আগুনের শিখা হয়ে থাকে” (সহীহ মুসলিম)। এই হাদিসে সরকারী কর্মচারী বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি কর্তৃক কোনো কিছু লুকানো বা অন্যায়ভাবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। যদি কেউ সরকারি বিদ্যুৎ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে, তা হলে এটি এই হাদিসের আওতায় পড়ে।
  1. আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে:
  • “যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করবে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়” (সহীহ মুসলিম)। সরকারি সম্পদ অপব্যবহার করা একটি ধোঁকা, যা এই হাদিসের আলোকে সম্পূর্ণ হারাম বলে বিবেচিত হবে।

উপসংহার:

সরকারি বিদ্যুৎ বা যেকোনো সম্পদ, যা সাধারণ জনগণের জন্য নির্ধারিত, তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা খিয়ানত এবং ইসলামে এটি হারাম বলে গণ্য। কুরআন ও হাদিসে এই ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

[table id=12 /]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *