ছোটো ছোটো গুনাহ গুলো এমন, যা মানুষ প্রায়শই গুরুত্ব দেয় না বা অবহেলা করে। এগুলোকে ছোট মনে করা হলেও, নিয়মিতভাবে করলে তা গুরুতর হয়ে যেতে পারে। ইসলামic পরিভাষায় এগুলোকে বলা হয় “সাগাইর গুনাহ” (ছোট গুনাহ)। ছোটো গুনাহগুলো ধারাবাহিকভাবে করলে তা বড় গুনাহে পরিণত হতে পারে।
নিম্নে কিছু ছোটো গুনাহের উদাহরণ দেওয়া হলো, যেগুলো অনেকেই মনে করেন না, কিন্তু এগুলো এড়ানো উচিত:
- মিথ্যা কথা বলা: ছোটখাটো বিষয়ে মিথ্যা বলা, যেমন মজা করার জন্য বা নিজের স্বার্থে।
- গিবত (পরনিন্দা করা): অন্যের অনুপস্থিতিতে তার খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করা, যা গুনাহ।
- অশ্লীল কথা বা আচরণ: ছোটখাটো অশ্লীল কথা বলা, হাস্যরসের ছলে হলেও, গুনাহ।
- অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করা: ছোটো বিষয়ে অন্যের অধিকার লঙ্ঘন করা, যেমন লাইনে না দাঁড়িয়ে অন্যের আগে যাওয়া।
- নামাজে অবহেলা: ফরজ নামাজের সময়মত না পড়া, বা নামাজে মনোযোগ না দেওয়া।
- অন্যকে হেয় করা: কথা বা আচরণের মাধ্যমে অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা।
- আলসেমি করা: দায়িত্ব এড়িয়ে চলা বা কাজের ক্ষেত্রে অলসতা করা।
- ওয়াদা ভঙ্গ করা: ছোটখাটো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, যেমন সময়মত উপস্থিত না হওয়া।
- অযথা সময় নষ্ট করা: সময়ের অপব্যবহার করে অলসভাবে দিন কাটানো, যা মানুষের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।
- সালামের উত্তর না দেওয়া: সালাম না দেওয়া বা সালামের উত্তর না দেওয়া, যা সুন্নত পালন না করার গুনাহ হতে পারে।
কুরআন ও হাদিস থেকে সতর্কতা:
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:
“তোমরা গুনাহের স্পষ্ট ও গোপন দিকগুলো এড়িয়ে চল। নিশ্চয়ই যারা গুনাহ করে, তারা শীঘ্রই তাদের কৃতকর্মের শাস্তি পাবে।”
— (সুরা আল-আন’আম, ৬:১২০)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“ছোট গুনাহকে তুচ্ছ করো না, কারণ তা একত্রিত হয়ে বড় গুনাহে পরিণত হতে পারে।”
— (ইমাম আহমাদ)
উপসংহার:
ছোটো ছোটো গুনাহকে গুরুত্ব না দেওয়া উচিত নয়, কারণ এসব গুনাহ একসঙ্গে বড় হয়ে মানুষের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। এগুলো এড়াতে সর্বদা সতর্ক থাকা এবং আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করা উচিত।